আমরা দিনকে দিন মর্ডান হচ্ছি..ইয়ে যাকে বলে সভ্য, কালচার্ড। আর আমাদের তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্ভূক্ত গরীব দেশটিতো রীতিমত কালচার্ড। কে বলে পয়সা নাই!! পয়সা আছে। কড়কড়া নোটের গন্ধ, পয়সার ঝংকার সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন খাবারের দোকানেই শুনতে পাবেন। হাতে একটা কোক বা কোন এনার্জি ড্রিংকের ক্যান, হাফ প্যান্ট পরনে বড় সভ্য হয়ে একটা ভাব নিয়ে হেঁটে যাওয়া। কে বলে আমরা পিছিয়ে আছি!!
অবশ্য বড় বড় বুলি আওড়াতে আমরা সবাই পটু। এই যেমন আমি...। স্পাইসি বার্গার মুখে দেবার সময় ভাবিনা কোন ৪ বছরের ছোট্ট শিশু চকলেট বিক্রি করে ক্লান্ত দেহে পার্কের কোন জায়গায় ঘুমিয়ে আছে। কোন খাবার পেটে আদৌও গিয়েছে কি না জানি না। আমি কিন্তু দিব্বি চালান করে দিয়েছি...রোস্টেড চিকেন উইথ চিলি সস্। হা হা.... After all I'm a cultured person...
বাস্তব আসলেই ভিন্ন...কঠিন। বাপরে...তারচেয়েও কঠিন মানব চরিত্র। এই যেমন সেইদিনকার কথা। অ্যানিভার্সারিতে হাজব্যান্ড এর গিফট করা "The NoteBook" বইটি পড়ছিলাম। আবেগে একাকার..। তার সাথে গালিও দিচ্ছি কর্মাশিয়াল আমেরিকান এই "নিকোলাস ব্যাটা" লিখল কিভাবে এত ভয়ংকর সুন্দর সুন্দর ডায়লগ... তার মধ্যে কতক শেয়ার করবার লোভ সামলাতে পারছিনা। এই যেমন:
"You are the answer to every prayer I've offered. You are a song, a dream, a whisper and I don't know how I could lived without you for as long as I have."
"For me love like that has happened only once and that's why every minute we spent together has been seared in my memory. I'll never forget a single moment of it."
"The reason it hurts so much to separate is because our souls are connected"
"Silence is holy. It draws people together because only those who are comfortable with each other can sit without speaking. This is the great paradox"
"You are the greatest thing that has ever happened to me"
"I love you for many things, especially your passions, for they have always been those things which are most beautiful in life. Love and poetry and fatherhood and friendship and beauty and nature."
আপাতত এখানেই ক্ষ্যান্ত দিলাম। তবে এধরনের বহু ডায়লগ আছে...যা প্রচন্ড আবেগ ছাড়া কলম দিয়ে বের করা সম্ভব নয়। যাই হোক..প্রচন্ড আগ্রহ ও আবেগ নিয়েই পড়ছি...নায়িকা অ্যালজাইমায় আক্রান্ত হয়ে স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলেছে..নায়ক তাকে নিজেদের জীবনী পড়ে শোনায়। দিনের শেষে নায়িকার সব মনে পড়ে যে, কাহিনী শোনানো ব্যক্তিটিকে আসলে কে। খুব হাসি ও তৃপ্তি নিয়ে বইটি পড়ে শেষ করেছিলাম। তারপর এক ধাক্কায় মুখের হাসি উধাও। কেননা, ছোট খাটো ভুলবার বাতিক সম্প্রতি আমার মধ্যে দেখা দিয়েছে। এই নাম ভুলি তো কি বলব সেটা ভুলি। কখনো কখনো কাজও ভুলে যাই। "আমিও কি তাহলে ওমন হয়ে যাবো" এই ভয়ে বইয়ের সেই প্রচন্ড আবেগ এক সেকেন্ডে ভুলে গিয়ে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করা শুরু করলাম। হা হা..একে বলে বাস্তব!! আর আমি একজন বাস্তববাদী।
"ধৈর্য্য ধর, সবুর কর, মাথা গরম করবেনা, কেউ তোমাকে কষ্ট দিলে তাকে উল্টো কষ্ট দিবেনা...আত্মনং বিদ্ধি..আত্মনং বিদ্ধি..'"কত্ত জ্ঞানী টাইপের বুলি কপচাতে থাকি যখন তখন..কিন্তু ঠিক যখনই রাগ ঝাড়বার সুযোগ আসে...আহা বড় আনন্দ নিয়েই করি। যখন কাউকে কথা দিয়ে মারার সুযোগ আসে...লাফাতে লাফাতে সুযোগ গ্রহণ করি। তখন আর ওই ধৈর্য্য ধারন..মোহমায়া ত্যাগীভাব উধাও। ওসব ফিলোসফি পরে কোন সোস্যাল গ্যাদারিংয়ে ঝাড়বার জন্য তোলা থাকে। এটাই বাস্তব।
জানি না আমি সভ্য হচ্ছি কি না...তবে মনুষ্যত্ব হারাচ্ছি এটা সত্য।
অবশ্য বড় বড় বুলি আওড়াতে আমরা সবাই পটু। এই যেমন আমি...। স্পাইসি বার্গার মুখে দেবার সময় ভাবিনা কোন ৪ বছরের ছোট্ট শিশু চকলেট বিক্রি করে ক্লান্ত দেহে পার্কের কোন জায়গায় ঘুমিয়ে আছে। কোন খাবার পেটে আদৌও গিয়েছে কি না জানি না। আমি কিন্তু দিব্বি চালান করে দিয়েছি...রোস্টেড চিকেন উইথ চিলি সস্। হা হা.... After all I'm a cultured person...
বাস্তব আসলেই ভিন্ন...কঠিন। বাপরে...তারচেয়েও কঠিন মানব চরিত্র। এই যেমন সেইদিনকার কথা। অ্যানিভার্সারিতে হাজব্যান্ড এর গিফট করা "The NoteBook" বইটি পড়ছিলাম। আবেগে একাকার..। তার সাথে গালিও দিচ্ছি কর্মাশিয়াল আমেরিকান এই "নিকোলাস ব্যাটা" লিখল কিভাবে এত ভয়ংকর সুন্দর সুন্দর ডায়লগ... তার মধ্যে কতক শেয়ার করবার লোভ সামলাতে পারছিনা। এই যেমন:
"You are the answer to every prayer I've offered. You are a song, a dream, a whisper and I don't know how I could lived without you for as long as I have."
"For me love like that has happened only once and that's why every minute we spent together has been seared in my memory. I'll never forget a single moment of it."
"The reason it hurts so much to separate is because our souls are connected"
"Silence is holy. It draws people together because only those who are comfortable with each other can sit without speaking. This is the great paradox"
"You are the greatest thing that has ever happened to me"
"I love you for many things, especially your passions, for they have always been those things which are most beautiful in life. Love and poetry and fatherhood and friendship and beauty and nature."
আপাতত এখানেই ক্ষ্যান্ত দিলাম। তবে এধরনের বহু ডায়লগ আছে...যা প্রচন্ড আবেগ ছাড়া কলম দিয়ে বের করা সম্ভব নয়। যাই হোক..প্রচন্ড আগ্রহ ও আবেগ নিয়েই পড়ছি...নায়িকা অ্যালজাইমায় আক্রান্ত হয়ে স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলেছে..নায়ক তাকে নিজেদের জীবনী পড়ে শোনায়। দিনের শেষে নায়িকার সব মনে পড়ে যে, কাহিনী শোনানো ব্যক্তিটিকে আসলে কে। খুব হাসি ও তৃপ্তি নিয়ে বইটি পড়ে শেষ করেছিলাম। তারপর এক ধাক্কায় মুখের হাসি উধাও। কেননা, ছোট খাটো ভুলবার বাতিক সম্প্রতি আমার মধ্যে দেখা দিয়েছে। এই নাম ভুলি তো কি বলব সেটা ভুলি। কখনো কখনো কাজও ভুলে যাই। "আমিও কি তাহলে ওমন হয়ে যাবো" এই ভয়ে বইয়ের সেই প্রচন্ড আবেগ এক সেকেন্ডে ভুলে গিয়ে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করা শুরু করলাম। হা হা..একে বলে বাস্তব!! আর আমি একজন বাস্তববাদী।
"ধৈর্য্য ধর, সবুর কর, মাথা গরম করবেনা, কেউ তোমাকে কষ্ট দিলে তাকে উল্টো কষ্ট দিবেনা...আত্মনং বিদ্ধি..আত্মনং বিদ্ধি..'"কত্ত জ্ঞানী টাইপের বুলি কপচাতে থাকি যখন তখন..কিন্তু ঠিক যখনই রাগ ঝাড়বার সুযোগ আসে...আহা বড় আনন্দ নিয়েই করি। যখন কাউকে কথা দিয়ে মারার সুযোগ আসে...লাফাতে লাফাতে সুযোগ গ্রহণ করি। তখন আর ওই ধৈর্য্য ধারন..মোহমায়া ত্যাগীভাব উধাও। ওসব ফিলোসফি পরে কোন সোস্যাল গ্যাদারিংয়ে ঝাড়বার জন্য তোলা থাকে। এটাই বাস্তব।
জানি না আমি সভ্য হচ্ছি কি না...তবে মনুষ্যত্ব হারাচ্ছি এটা সত্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন