আমাদের বিজয়, আমাদের স্বাধীনতা................. বিজয় কি?....আন্দোলন, সংগ্রামের পর যে জয় পাওয়া। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর, বাংলাদেশ নয়টি মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরই তার বিজয় অর্জন করে। রাতের আঁধারে চুপি চুপি পাওয়া স্বাধীনতা আমাদের নয়। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের দ্বারা, হাজারো স্বজনদের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন প্রাণহীন দেহের বদলে পাওয়া। কোন অবহেলায় পাওয়া এই স্বাধীনতা নয়, এই স্বাধীনতা আমাদের গর্ব, অহংকার। হারানো অমূল্য হাজারো রতন.................. বিচক্ষণ ব্যক্তিরা বলে থাকেন, কোন দেশ বা জাতিকে খোঁড়া করে দিতে চাইলে তার সংস্কৃতি, তার লোকজ সম্পত্তি ধ্বংস করে দেয়া উচিৎ। জাতি আপনাতেই খোঁড়া হয়ে যায়, ধ্বসে পরে। আমাদের দেশেও ঠিক তেমনটিই হয়। হাজারো অমূল্য বুদ্ধিজীবিদের হারিয়ে খোঁড়া পায়ে দাঁড়ানো চেষ্টা চালায় সদ্য জন্ম নেয়া একটি দেশ, বাংলাদেশ। কিন্তু ইতিহাসের মীরজাফর, জগৎশেঠরা সর্বকালেই তাদের যোগ্য অনুসারীদের রেখে যায়। আমাদের ক্ষেত্রেও এর বিপরীত কিছু ঘটেনি। বন্য পশু, জংলীর ন্যায়, নিজেরাই নিজেদের মাংস খেয়েছি। ভয়াল কূটনীতির জালে জড়িয়ে হারিয়েছি বহু দেশপ্রেমিক নেতা। খোঁড়া পা, যে সবল পায়ের উপর তার ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারতো, তার উপরই চালানো শুরু করেছি ধারালো করাত। আজও চালিয়ে যাচ্ছি। মুখ থুবড়ে পরে যেতে বাকি নেই, যদি না এখনোই না থামাই। বাংলার মাটির আগামী প্রজন্ম.................. এক শিশুকে দেখলাম, বছর ৪ হবে। বড় দরদ দিয়ে গাইবার চেষ্টা করছে, "একটি বাংলাদেশ, তুমি জাগ্রত জনতার..", জিজ্ঞেস করেছিলাম, এই গান কেন গাইছো, কে শিখিয়েছে। উত্তর বড় সুন্দর ছিল। "এটা দেশের গান, আমার বাবা শিখিয়েছেন। আমরা দুষ্টু লোকদের কাছ থেকে অনেক যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছি, আমাদের অনেক সাহস, আমরা টাইগার তাই।" চমৎকার ! এতটুকু শিশু মনে যে এটা দাগ কেটেছে, এটাই আমাদের সেই লাখো শহীদদের চাওয়া। কেননা, এরাই বড় হয়ে এক একজন হবে সেই মহান শহীদদের মত নির্ভীক, নেতা। বিজয়, স্বাধীনতা কি; তা যদি এই নতুন প্রজন্ম উপলব্ধিই না করে তো কিভাবে সম্ভব খোঁড়াকে সেবা-মমতা দিয়ে শক্ত করে দাঁড়াবার উপযুক্ত করা? দেশাত্মকবোধ যেন ফ্যাশন না হয়.............. আজকাল কিছু কিছু শিক্ষাঙ্গনে দেখা যায়, আমাদের দেশের বিশেষ দিনগুলি তার অনেক আড়ম্বর করেই পালন করে। এটা যে খারাপ বা নেতিবাচক কিছু তা নয়। কথা হচ্ছে এটা যেন ফ্যাশন না হয়ে যায়। নতুন প্রজন্মরা অনেক উৎসাহের সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে; কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ সময়ই অংশগ্রহণকারী সন্তানের বাবা-মায়েরা ব্যস্ত ও চিন্তিত থাকে, তাদের সন্তান বাকি সবার থেকে ভালো করল কিনা, তাকে ভালো দেখাচেছ কিনা কিংবা তার সজ্জ্বায় সবার চেয়ে বেশি খরচ হলো কিনা। স্বাধীনতার গুরুত্ব কেনইবা এতো মর্হাঘ্য যার জন্য তাদের এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এটা বোঝানোর জন্যে ১০টি মিনিট ব্যয় করবার সময়ই যেন এদের নেই। আর থাকলেও নিজেরা চিন্তা করে, "কিছু বলে তো লাভ নেই এরা তো কিছুই বুঝবেনা" বা "বোঝার বয়স হলে একাই বুঝবে।" আমার কথা আপনি আপনার শিশুটিকে যে সময় ব্যয় করে "ফ্যাশন" কি সেটা বোঝাচ্ছেন, সে সময়টাতে কষ্ট করে খেলাচ্ছলে কিংবা গল্পচ্ছলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কি সেটাও বোঝাতে পারবেন। "ফ্যাশন" অনুধাবন করতে পারলে এটা বড় কোন কঠিন বিষয় নয়। কবিগুরুর একটি কথা এখানে বলা উচিৎ, যে সত্যিই "ফ্যাশনটা হচ্ছে মুখোশ; আর স্টাইল, মুখচ্ছবি।" আমাদের স্টাইল, আমরা বাংলাদেশি। যেন ঝরে না পরে......... এবার ১৬ই ডিসেম্বরের প্যারেডে দেখলাম বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গন থেকে আসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ। তাদের অংশগ্রহণের উৎসাহ চোখে পরার মত। সুসজ্জি্বত বেশকিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে, সজ্জ্বায় দেউলিয়াপনা; বলা চলে অবহেলার ছাপ স্পষ্ট এমন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও। অবাক করার বিষয় সেইসব বিদ্যালয় সরকারি। এখানে কিন্তু বেশভূষার কথা বলা হচ্ছেনা। বলা হচ্ছে যারা শিক্ষা প্রদান করছেন তাদের কথা। তাদের সম্বনয়ে নিদারুন অবহেলা আর দৈন্যতার কথা। মনে হলো যেন কোনরকমভাবে প্যারেডে এদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা, নিয়ে আসতে হবে বলে। কিন্ত সুসংগঠিত করবার কোন প্রয়াস এদের নেই। একটি প্যারেডে অংশগ্রহণ মানেই, তাদের গোটা বিদ্যালয়টির অভিব্যক্তি উপস্থাপন করা হাজারো মানুষের সামনে। এমনটা কেন হবে? সুষ্ঠু সংগঠন বোঝায়, শিক্ষার পরিবেশ কেমন হবে তা। সুসংগঠন; অর্থের মাপকাঠিতে বিচার করা হয়না। বিচার করা হয়, সুশৃঙ্খলতা আর সুসম্বনয়ের দ্বারা। আর এক্ষেত্রে এই সুষ্ঠু নিয়মের অভাব সুস্পষ্ট, এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রদানকারীদের মধ্যে। এই শিশুফুলগুলি চোখের অগোচরে জন্ম নেয়, কিন্ত এরা যেন অবহেলায় ঝরে না পরে অন্তত এটাতো আমরা দেখতে পারি!!! | |
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২০, ২০১১
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০১১
এলোমেলো ভাবনাগুলি......৬
আজ শুধুই কিছু ছবি........
প্রথমেই......আজ আমরা স্বাধীন...........
ও আমার দেশের মাটি....তোমার পায়ে ঠেকাই মাথা........
কিন্তু আরোও যে বাকি আছে পথ চলা...........
দেশমাতাকে বাঁচাতে হবে.......কালোর ছায়া থেকে...........
এগিয়ে যাবো উন্নতির দিকে..............
উদয় হবে এক নতুন সূর্য...নতুন আলোর দিন.........
এ আমার, তোমার, আপনার, আমাদের সবার স্বপ্ন, সবার শপথ......সবার দৃঢ় বিশ্বাস।
শুক্রবার, নভেম্বর ১৮, ২০১১
এলোমেলো ভাবনাগুলি......৫
যেন হারিয়ে না যায়
কিছুটা আতংকিত একটি ব্যাপারে!!
প্রচন্ড বিষন্নতা কিংবা প্রচন্ড রাগের মাথাতেই থাকিনা কেন, ভালোবাসার পাত্রটির কাছে গিয়ে, তাকে জড়িয়ে ধরতেই এত প্রশান্তি!! আহা!! এ আমার সার্থক প্রেম নাকি আমার প্রেমিকের সার্থকতা!! আমার শৈশব, কৈশোর আর আমার যৌবনের প্রথম প্রেম, আমার প্রেমিক......বই।
যান্ত্রিকতার সাথে সখ্যতা সম্পর্ককে আরো শক্ত, সহজ করছে কিনা জানি না, তবে হ্যাঁ, বহু পুরোনো সম্পর্কগুলো যে ভেঙ্গে যেতে পারে সেই আঁচ করতে পারি। দিন দিন যেন আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি এই যান্ত্রিকতা নামক সম্পূর্ণ নতুন এক সমাজব্যবস্থার কাছে। এতে সম্পর্কগুলোতে ট্রান্সপারেন্সি বাড়তে পারে কিন্তু জানিনা কেন.... আগের সেই মাধুর্যতটা যেন আর নেই। সত্য নাও বা হতে পারে, এ আমার নিতান্তই একান্ত ভাবনা।
যান্ত্রিকতার সার্থকতাকে উপভোগ করতে যে, তারই পরশ লাগে সে আর বলতে!(আরে বাবা, চার্জ দিয়ে যে চালাতে হয়), আসলে বলতে চাইছি, "ই-বুক রিডার" এর কথা। হাসবেন না। আমার সামনে একটি ই-বুক রিডার রাখা, আমারই। উপহার। এতে অনেক বই ডাউনলোড করছি এবং খুব ভালোও লাগছে কিন্তু হঠাৎ চোখ চলে গেল আমার বুকশেলফে। মনে হলো ওরা যেন হাসল, বলছে ১০/২০ টার ভার একত্রে নিতে কি কষ্ট হয় বলে!!!
একা একাই ভাবলাম, এটা কি কথা!! হ্যাঁ, ভালো লাগে ব্যাগের ভেতর ছোট্ট একটা যন্ত্রে অনেকগুলো বই সাথে নিয়ে ঘুরতে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি ভালো লাগে.....বইয়ের পাতার গন্ধ নিতে, পাতার পর পাতা উল্টাতে, হারিয়ে যেতে, হাজারো বইয়ে ভর্তি নিজের ঘর দেখতে। মনে হয় যেন, হ্যাঁ, এটা একটি বাসযোগ্য ঘরই বটে।
বর্তমানে এমনিতেই যে হাল, এই যে লিখছি, যন্ত্রের মাধ্যমে আবার যারা পড়ছেন তাও কিন্তু সেই যন্ত্রই। ভাবছি, নতুন যারা তারা যেন যন্ত্রকে আঁকড়াতে গিয়ে, বইয়ের প্রতিটি পাতার গন্ধ, অপার্থিব সেই ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত না হয়। ম্যাটেরিয়ালিস্টিক হতে গেলে "অনুভব" হারিয়ে ফেলব।
সোমবার, নভেম্বর ১৪, ২০১১
এলোমেলো ভাবনাগুলি......৪
"ও গো বৃষ্টি আমার চোখের পাতা ছুঁয়োনা...
আমার এতো সাধের কান্নার দাগ ধুয়োনা,
সে যেনো এসে দেখে....
পথ চেয়ে তার, কেমন করে কেঁদেছি।"
আমার এতো সাধের কান্নার দাগ ধুয়োনা,
সে যেনো এসে দেখে....
পথ চেয়ে তার, কেমন করে কেঁদেছি।"
আপাতদৃষ্টিতে আবেগে পরিপূর্ণ "সেনসেটিভ" যাকে বলে তা নই। স্বীকার করতেই হয়। কিন্তু তারপরও হঠাৎ বৃষ্টি, হঠাৎ ঝড়, বড় বেসামাল করে দেয়। "হাইলি ইমপরটেন্ট" প্রাইররিটি সম্পন্ন কাজ ছেড়ে উঠে যেতে বিন্দুমাত্র দেরি হয়না। যেমন এখন।
হঠাৎ বৃষ্টি, থামিয়ে দিল আমাকে। হয়তবা আমার মতন আরো অনেকেই থমকে গিয়েছে, কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গিয়েছে কঠিন বাস্তব, কন্টকময় পৃথিবীর বন্ধন থেকে, কিছুক্ষণের জন্য ভেবেছে....... জীবন কয়দিনের, আজ আছি তো কাল নেই। এইযে লিখছি, হয়তবা এর পর কিছু মুহুর্তের মধ্যেই আমি "জনিকা মাহমুদ"........... "মরহুমা জনিকা মাহমুদ" হয়ে যেতে পারি।
এবং ইহা সত্য, অতীব রুঢ় সত্য। আর কিছুই থেমে থাকবেনা। আমার ঘড়ির কাঁটা থেমে গেলেও থামবেনা, তোমার, আপনার, আপনাদের। আর এটাই কিন্তু আমাদের পৃথিবীর প্রকৃত সত্য, প্রকৃত বাস্তব। যা মনে প্রাণে ভুলে থেকে মরিচীকার পেছনে ছুটি।
এবং ইহা সত্য, অতীব রুঢ় সত্য। আর কিছুই থেমে থাকবেনা। আমার ঘড়ির কাঁটা থেমে গেলেও থামবেনা, তোমার, আপনার, আপনাদের। আর এটাই কিন্তু আমাদের পৃথিবীর প্রকৃত সত্য, প্রকৃত বাস্তব। যা মনে প্রাণে ভুলে থেকে মরিচীকার পেছনে ছুটি।
একজন অতীব কাছের মানুষকে ইঙ্গিত করে বলছি......যখন দুমিনিটেরই ভরসা নেই, তখন ইগো নিয়ে ঝামেলা করে কি লাভ!!!!
এই আবোল-তাবোল বকর বকর লিখবার হেতু এই যে,
হারপাল ইহা....(সবসময় এখানে)
জি ভার জিও (মন ভরে বাঁচো)
যো হে সামা...(এখন যে সময়)
কাল হো না হো...(কাল থাকবে কি থাকবেনা.............)
জি ভার জিও (মন ভরে বাঁচো)
যো হে সামা...(এখন যে সময়)
কাল হো না হো...(কাল থাকবে কি থাকবেনা.............)
রবিবার, নভেম্বর ১৩, ২০১১
Frozen Inca Mummy GIRL....
The mummy of an ancient Inca girl sits literally frozen in sleep at a museum in Argentina.
The mummy, called La Doncella or The Maiden, is that of a teenage girl who died more than 500 years ago in a ritual sacrifice in the Andes Mountains.
The girl and two other children were left on a mountaintop to succumb to the cold as offerings to the gods, according to the archaeologists who found the mummified remains in Argentina in 1999.
National Geographic Explorer-in-Residence Johan Reinhard, who co-led the expedition, described the discovery at the time as "the best preserved of any mummy I've seen." (National Geographic News is a division of the National Geographic Society.)
The High Country Archaeological Museum in Salta, Argentina, unveiled La Doncella, the oldest of the three victims, for its first public viewing on September 6.
The museum is displaying the mummy in a refrigerated, low-oxygen environment to reproduce the high-altitude conditions that allowed for its remarkable, natural preservation.
The mummies of the other two children remain in storage for further study, museum officials said.
The history behind the story......
In Argentina, a Museum Unveils a Long-Frozen Maiden
The maiden, the boy, the girl of lightning: they were three Inca children, entombed on a bleak and frigid mountaintop 500 years ago as a religious sacrifice.
Unearthed in 1999 from the 22,000-foot summit of Mount Llullaillaco, a volcano 300 miles west of here near the Chilean border, their frozen bodies were among the best preserved mummies ever found, with internal organs intact, blood still present in the heart and lungs, and skin and facial features mostly unscathed. No special effort had been made to preserve them. The cold and the dry, thin air did all the work. They froze to death as they slept, and 500 years later still looked like sleeping children, not mummies.
In the eight years since their discovery, the mummies, known here simply as Los Niños or “the children,” have been photographed, X-rayed, CT scanned and biopsied for DNA. The cloth, pottery and figurines buried with them have been meticulously thawed and preserved. But the bodies themselves were kept in freezers and never shown to the public — until last week, when La Doncella, the maiden, a 15-year-old girl, was exhibited for the first time, at the Museum of High Altitude Archaeology, which was created in Salta expressly to display them.
The new and the old are at home in Salta. The museum faces a historic plaza where a mirrored bank reflects a century-old basilica with a sign warning churchgoers not to use the holy water for witchcraft. Now a city of 500,000 and the provincial capital, Salta was part of the Inca empire until the 1500s, when it was invaded by the Spanish conquistadors.
Although the mummies captured headlines when they were found, officials here decided to open the exhibit quietly, without any of the fanfare or celebration that might have been expected.
“These are dead people, Indian people,” said Gabriel E. Miremont, 39, the museum’s designer and director. “It’s not a situation for a party.”
The two other mummies have not yet been shown, but will be put on display within the next six months or so.
The children were sacrificed as part of a religious ritual, known as capacocha. They walked hundreds of miles to and from ceremonies in Cuzco and were then taken to the summit of Llullaillaco (yoo-yeye-YAH-co), given chicha (maize beer), and, once they were asleep, placed in underground niches, where they froze to death. Only beautiful, healthy, physically perfect children were sacrificed, and it was an honor to be chosen. According to Inca beliefs, the children did not die, but joined their ancestors and watched over their villages from the mountaintops like angels.
Discussing why it took eight years to prepare the exhibit, Dr. Miremont smiled and said, “This is South America,” but then went on to explain that there was little precedent for dealing with mummies as well preserved as these, and that it took an enormous amount of research to figure out how to show them yet still make sure they did not deteriorate.
The solution turned out to be a case within a case — an acrylic cylinder inside a box made of triple-paned glass. A computerized climate control system replicates mountaintop conditions inside the case — low oxygen, humidity and pressure, and a temperature of 0 degrees Fahrenheit. In part because Salta is in an earthquake zone, the museum has three backup generators and freezers, in case of power failures or equipment breakdowns, and the provincial governor’s airplane will fly the mummies out in an emergency, Dr. Miremont said.
Asked where they would be taken, he replied, “Anywhere we can plug them in.”
The room holding La Doncella is dimly lighted, and the case itself is dark; visitors must turn on a light to see her.
“This was important for us,” Dr. Miremont said. “If you don’t want to see a dead body, don’t press the button. It’s your decision. You can still see the other parts of the exhibit.”
He designed the lighting partly in hope of avoiding further offense to people who find it disturbing that the children, part of a religious ritual, were taken from the mountaintop shrine.
Whatever the intention, the effect is stunning. Late in August, before the exhibit opened, Dr. Miremont showed visitors La Doncella. At a touch of the button, she seemed to materialize from the darkness, sitting cross-legged in her brown dress and striped sandals, bits of coca leaf still clinging to her upper lip, her long hair woven into many fine braids, a crease in one cheek where it leaned against her shawl as she slept.
The bodies seemed so much like sleeping children that working with them felt “almost more like a kidnapping than archaeological work,” Dr. Miremont said.
One of the children, a 6-year-old girl, had been struck by lightning sometime after she died, resulting in burns on her face, upper body and clothing. She and the boy, who was 7, had slightly elongated skulls, created deliberately by head wrappings — a sign of high social status, possibly even royalty.
Scientists worked with the bodies in a special laboratory where the temperature of the entire lab could be dropped to 0 degrees Fahrenheit, and the mummies were never exposed to higher temperatures for more than 20 minutes at a time, to preventing thawing.
DNA tests revealed that the children were unrelated, and CT scans showed that they were well nourished and had no broken bones or other injuries. La Doncella apparently had sinusitis, as well as a lung condition called bronchiolitis obliterans, possibly the result of an infection.
“There are two sides,” Dr. Miremont said. “The scientific — we can read the past from the mummies and the objects. The other side says these people came from a culture still alive, and a holy place on the mountain.”
Some regard the exhibit as they would a church, Dr. Miremont said.
“To me, it’s a museum, not a holy place,” he said. “The holy place is on top of the mountain.”
The mountains around Salta are home to at least 40 other burial sites from ritual sacrifices, but Dr. Miremont said the native people who live in those regions do not want more bodies taken away.
“We will respect their wishes,” Dr. Miremont said, adding that three mummies were enough. “It is not necessary to break any more graves. We would like to have good relations with the Indian people.”
....................
....................
রবিবার, নভেম্বর ০৬, ২০১১
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১১
দুর্নীতিগ্রস্থ মনিরুল হাসানের পদতলে পিষ্ট "শ্রীপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়"
১৯৪২ সালে হাজী হাসেন আলী মন্ডলের উদ্যোগে এবং অনুদানে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হয় "শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়"৷ কালের বিবর্তনে যার নামকরণ করা হয় "শ্রীপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়"৷ এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এবং পরবর্তীতে তিনি এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন৷ ২০০৫ সালে অত্যন্ত সুপরিচিত ব্যক্তি হাজী হাসেন আলী মন্ডলের নাতি "মনিরুল হাসান" বর্তমানে এর প্রধান শিক্ষক৷ কিন্তু তার এই যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ৷ একদা এই বিদ্যালয়ে তিনি কেরানী পদে ঢুকে অতিসত্ত্বর বি.এ. পাশের (নিয়মিত ভুয়া সার্টিফিকেট) প্রদর্শন করে নিয়মিত শিক্ষকের পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন৷ পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন ২০১১ এর মার্চ পর্যন্ত৷ এবং বর্তমানে তিনি এর প্রধান শিক্ষক৷
এই সুদীর্ঘ সময় ধরেই তিনি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের দুনর্ীতির সঙ্গে জড়িত৷ দুর্নীতিতে তার সহকারী বা সহযোগী বলা চলে এমন দুজন ব্যক্তি হলেন শরীর চর্চা বিষয়ক শিক্ষক "দীন মোহাম্মদ" এবং কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষক "আলতাফ হোসেন"৷ দিন মোহাম্মদ "শরীর চর্চা" বিষয়ক শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও এই বিদ্যালয়ে কোন শরীরচর্চার পাঠদান হয়না৷ নেয়া হয়না কোন পরীক্ষাও৷ যদিও পাঠ্যবিষয়ে সরকারিভাবে "শারীরিক শিক্ষা" অন্তর্ভূক্ত৷ তথাপি নিজের বিষয়ক পাঠদান শ্রেনীতে করাতো হয়ইনা বরং তাকে দিয়ে গণিতের পাঠদান করানো হয়৷ যেখানে গণিত বিভাগের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত যোগ্য গণিত শিক্ষক৷ শুধু এই নয়, ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্য করা হয় ১০০০ টাকার বিনিময়ে তার নিকট প্রাইভেট পড়তে, যেখানে স্বচ্ছল পরিবারের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন এবং যেখানে শিক্ষার্থীদের বই কেনাটাও হয় কষ্টসাধ্য৷ আর এই অর্থের ৫০% যায় "মনিরুল হাসান" এর পকেটে৷ এর কাছে না পড়লে "কৃষি শিক্ষা"তেও নম্বর দেয়া হয় না৷ কেননা কৃষি বিষয়ক পাঠদানও দীন মোহাম্মদ করেন (যোগ্য শিক্ষক বর্তমান থাকার পরও)৷ মনিরুল হাসান, কৃষি ব্যবহারিক খাতা বাইড়ে থেকে এনে অত্যন্ত চড়া দামে কিনতে বাধ্য করেন শিক্ষার্থীদের৷
অপরদিকে আলতাফ হোসেন "কম্পিউটার শিক্ষা"র শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও তাকে দিয়ে নেয়া হয় গণিত, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও পদার্থ শিক্ষার পাঠ (একই রকমভাবে যেখানে অভিজ্ঞ বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষক বর্তমান)৷ এখানেও একইরকমভাবে প্রাইভেট না পড়লে পাশ দেয়া হয়না জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞান এর ব্যবহারিক পরীক্ষায়৷ এবং এক্ষেত্রেও মনিরুল হাসান বাধ্য করেন চড়াদামে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক খাতা কিনতে৷
সরকারিভাবে যত অনুদান আসে তা বিদ্যালয়ের কোন প্রকার উন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হবার বদলে চলে যায় মনিরুল হাসানের পকেটে৷ অনুষ্ঠিত হয়না জে.এস.সি পরীক্ষার কোন টেস্ট পরীক্ষা এবং পরীক্ষা ছাড়াই হয় ফর্মপূরণ৷ আর বোর্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়, বানোয়াট টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট শীট৷ জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষার আসন অত্যন্ত সুকৌশলে বিদ্যালয়ের একই স্থানে অবস্থিত "শ্রীপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়"-এ ফেলা হয়৷ যাতে করে, মনিরুল হাসান, দীন মোহাম্মদ ও আলতাফের হোসেন এর শিক্ষার্থীদের যখন যে বিষয়ের পরীক্ষা হয়, পরীক্ষা কক্ষে সেই বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ করার মধ্য দিয়ে পরীক্ষায় সহায়তা করা যায়৷ পরীক্ষার প্রশ্ন বাইড়ে থেকে সল্যুশন করে এনে সু-কৌশলে কক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হয়৷
এরা প্রকাশ্যে এ+ দেবার নিশ্চয়তা দিয়ে বেড়ায়, যার দরুন প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও ব্যবস্থা নিম্নমানের হয়ে যাচ্ছে৷ ক্রমশ শিক্ষার্থীরাও হচ্ছে আলতাফ ও দীন মোহাম্মদমুখী৷
বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির টাকাও পকেটস্থ হচ্ছে মনিরুল হাসানের৷ এই টাকা শুধু তাদের প্রাইভেট কোচিং "ইউনিক এডুকেয়ার" -এ ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরাই পায়৷ শুধু তাই নয়, সকল ধরনের পরীক্ষার প্রশ্ন প্রকাশ করা থেকে শুরু করে, তাদের শিক্ষার্থীরা ৫টি বিষয়ে ফেল করলেও এস.এস.সি এর টেস্ট পরীক্ষায় পাশ দিয়ে দেয়া হয়৷ অপরদিকে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ১টি বিষয়ে ফেল করলেও তাদেরকে পাশ দেয়া হয়না৷ অবশ্য মোটা অর্থের বিনিময়ে পাশ দিয়েও দেয়া হয়৷ স্কুলকোচিং এর নাম করে মোটা টাকা হাতিয়ে নেয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যেখানে কখনো কখনো কোচিং শুরুই হয়না৷
হাসেন আলী মন্ডল বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হওয়া সত্ত্বেও মনিরুল হাসান তাঁর নাম বিদ্যালয়ের খাতা থেকে মুছে দেন৷ সে নিজে প্রধান শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যালয়ে তার উপস্থিতি খুবই কম, প্রায় নাই বললেই চলে এমন৷ ২০০৫ সালে বি.এ. পরীক্ষা দেবার পর অকৃতকার্য হবার পরও ভুয়া সার্টিফিকেট জোগাড় করে প্রধান শিক্ষকের পদে বহাল তবিয়তে আছেন৷ যে ব্যক্তির যোগ্যতা এত প্রশ্নবিদ্ধ এবং সেই যোগ্যতার বলে প্রতিনিয়ত দুর্নীতি করে থাকেন সে কিভাবে এতটা দাপট দেখিয়ে চলতে পারেন?
কেউ যদি তার এই কৃত দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনরুপ প্রতিবাদ করেন তবে তাকে সরাসরি বরখাস্ত করা হবে বলে শাসানো হয়৷ এবং এই প্রতিবাদ করবার কারণেই এই বিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষক "হারুনুর রশীদ"কে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে৷ স্থানীয় সাংবাদিকদের ঘুষ দেবার মধ্য দিয়ে সম্মেলন ডেকে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে তা পত্রিকায় ছাপানোর ব্যবস্থাও করেন৷ এছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বহু নারী কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত৷
এতসত্ত্বেও স্থানীয় লোকজনরা তার বিরুদ্ধে কোন কিছু বলা বা করার সাহস পায়না৷ কেননা, সবারই ধারনা, এসব দুর্নীতিতে ইউ.ই.ও(ইউনিয়ন এজুকেশন অফিসার) এবং টি.ই.ও(থানা এজুকেশন অফিসার) জড়িত৷
প্রতিনিয়ত নির্মম এই দুর্নীতির চরম দহনে জ্বলে এই বিদ্যালয়, যার প্রাঙ্গনে একসময় পদচারণা ছিল বাংলাদেশের একসময়ের প্রধানমন্ত্রী, তাজউদ্দিন আহমেদ এর৷ এই বিষয়গুলির উপর কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষামন্ত্রনালয়ের সহৃদয় এবং সজাগ দৃষ্টি আর্কষণ করছি৷
জানিনা কতটা গুরুত্ব দেয়া হবে এই প্রতিবেদনটির!!!
তথ্যসুত্র: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজীপুরের এক বাসিন্দা।
এই সুদীর্ঘ সময় ধরেই তিনি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের দুনর্ীতির সঙ্গে জড়িত৷ দুর্নীতিতে তার সহকারী বা সহযোগী বলা চলে এমন দুজন ব্যক্তি হলেন শরীর চর্চা বিষয়ক শিক্ষক "দীন মোহাম্মদ" এবং কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষক "আলতাফ হোসেন"৷ দিন মোহাম্মদ "শরীর চর্চা" বিষয়ক শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও এই বিদ্যালয়ে কোন শরীরচর্চার পাঠদান হয়না৷ নেয়া হয়না কোন পরীক্ষাও৷ যদিও পাঠ্যবিষয়ে সরকারিভাবে "শারীরিক শিক্ষা" অন্তর্ভূক্ত৷ তথাপি নিজের বিষয়ক পাঠদান শ্রেনীতে করাতো হয়ইনা বরং তাকে দিয়ে গণিতের পাঠদান করানো হয়৷ যেখানে গণিত বিভাগের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত যোগ্য গণিত শিক্ষক৷ শুধু এই নয়, ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্য করা হয় ১০০০ টাকার বিনিময়ে তার নিকট প্রাইভেট পড়তে, যেখানে স্বচ্ছল পরিবারের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন এবং যেখানে শিক্ষার্থীদের বই কেনাটাও হয় কষ্টসাধ্য৷ আর এই অর্থের ৫০% যায় "মনিরুল হাসান" এর পকেটে৷ এর কাছে না পড়লে "কৃষি শিক্ষা"তেও নম্বর দেয়া হয় না৷ কেননা কৃষি বিষয়ক পাঠদানও দীন মোহাম্মদ করেন (যোগ্য শিক্ষক বর্তমান থাকার পরও)৷ মনিরুল হাসান, কৃষি ব্যবহারিক খাতা বাইড়ে থেকে এনে অত্যন্ত চড়া দামে কিনতে বাধ্য করেন শিক্ষার্থীদের৷
অপরদিকে আলতাফ হোসেন "কম্পিউটার শিক্ষা"র শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও তাকে দিয়ে নেয়া হয় গণিত, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও পদার্থ শিক্ষার পাঠ (একই রকমভাবে যেখানে অভিজ্ঞ বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষক বর্তমান)৷ এখানেও একইরকমভাবে প্রাইভেট না পড়লে পাশ দেয়া হয়না জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞান এর ব্যবহারিক পরীক্ষায়৷ এবং এক্ষেত্রেও মনিরুল হাসান বাধ্য করেন চড়াদামে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক খাতা কিনতে৷
সরকারিভাবে যত অনুদান আসে তা বিদ্যালয়ের কোন প্রকার উন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হবার বদলে চলে যায় মনিরুল হাসানের পকেটে৷ অনুষ্ঠিত হয়না জে.এস.সি পরীক্ষার কোন টেস্ট পরীক্ষা এবং পরীক্ষা ছাড়াই হয় ফর্মপূরণ৷ আর বোর্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়, বানোয়াট টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট শীট৷ জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষার আসন অত্যন্ত সুকৌশলে বিদ্যালয়ের একই স্থানে অবস্থিত "শ্রীপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়"-এ ফেলা হয়৷ যাতে করে, মনিরুল হাসান, দীন মোহাম্মদ ও আলতাফের হোসেন এর শিক্ষার্থীদের যখন যে বিষয়ের পরীক্ষা হয়, পরীক্ষা কক্ষে সেই বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ করার মধ্য দিয়ে পরীক্ষায় সহায়তা করা যায়৷ পরীক্ষার প্রশ্ন বাইড়ে থেকে সল্যুশন করে এনে সু-কৌশলে কক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হয়৷
এরা প্রকাশ্যে এ+ দেবার নিশ্চয়তা দিয়ে বেড়ায়, যার দরুন প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও ব্যবস্থা নিম্নমানের হয়ে যাচ্ছে৷ ক্রমশ শিক্ষার্থীরাও হচ্ছে আলতাফ ও দীন মোহাম্মদমুখী৷
বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির টাকাও পকেটস্থ হচ্ছে মনিরুল হাসানের৷ এই টাকা শুধু তাদের প্রাইভেট কোচিং "ইউনিক এডুকেয়ার" -এ ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরাই পায়৷ শুধু তাই নয়, সকল ধরনের পরীক্ষার প্রশ্ন প্রকাশ করা থেকে শুরু করে, তাদের শিক্ষার্থীরা ৫টি বিষয়ে ফেল করলেও এস.এস.সি এর টেস্ট পরীক্ষায় পাশ দিয়ে দেয়া হয়৷ অপরদিকে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ১টি বিষয়ে ফেল করলেও তাদেরকে পাশ দেয়া হয়না৷ অবশ্য মোটা অর্থের বিনিময়ে পাশ দিয়েও দেয়া হয়৷ স্কুলকোচিং এর নাম করে মোটা টাকা হাতিয়ে নেয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যেখানে কখনো কখনো কোচিং শুরুই হয়না৷
হাসেন আলী মন্ডল বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হওয়া সত্ত্বেও মনিরুল হাসান তাঁর নাম বিদ্যালয়ের খাতা থেকে মুছে দেন৷ সে নিজে প্রধান শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যালয়ে তার উপস্থিতি খুবই কম, প্রায় নাই বললেই চলে এমন৷ ২০০৫ সালে বি.এ. পরীক্ষা দেবার পর অকৃতকার্য হবার পরও ভুয়া সার্টিফিকেট জোগাড় করে প্রধান শিক্ষকের পদে বহাল তবিয়তে আছেন৷ যে ব্যক্তির যোগ্যতা এত প্রশ্নবিদ্ধ এবং সেই যোগ্যতার বলে প্রতিনিয়ত দুর্নীতি করে থাকেন সে কিভাবে এতটা দাপট দেখিয়ে চলতে পারেন?
কেউ যদি তার এই কৃত দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনরুপ প্রতিবাদ করেন তবে তাকে সরাসরি বরখাস্ত করা হবে বলে শাসানো হয়৷ এবং এই প্রতিবাদ করবার কারণেই এই বিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষক "হারুনুর রশীদ"কে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে৷ স্থানীয় সাংবাদিকদের ঘুষ দেবার মধ্য দিয়ে সম্মেলন ডেকে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে তা পত্রিকায় ছাপানোর ব্যবস্থাও করেন৷ এছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বহু নারী কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত৷
এতসত্ত্বেও স্থানীয় লোকজনরা তার বিরুদ্ধে কোন কিছু বলা বা করার সাহস পায়না৷ কেননা, সবারই ধারনা, এসব দুর্নীতিতে ইউ.ই.ও(ইউনিয়ন এজুকেশন অফিসার) এবং টি.ই.ও(থানা এজুকেশন অফিসার) জড়িত৷
প্রতিনিয়ত নির্মম এই দুর্নীতির চরম দহনে জ্বলে এই বিদ্যালয়, যার প্রাঙ্গনে একসময় পদচারণা ছিল বাংলাদেশের একসময়ের প্রধানমন্ত্রী, তাজউদ্দিন আহমেদ এর৷ এই বিষয়গুলির উপর কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষামন্ত্রনালয়ের সহৃদয় এবং সজাগ দৃষ্টি আর্কষণ করছি৷
জানিনা কতটা গুরুত্ব দেয়া হবে এই প্রতিবেদনটির!!!
তথ্যসুত্র: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজীপুরের এক বাসিন্দা।
শনিবার, জুলাই ২৩, ২০১১
সোমবার, মে ৩০, ২০১১
রবিবার, মে ২৯, ২০১১
Zanika Mahmud: নিজেকে নিজে তৈরি করা (১)
Zanika Mahmud: নিজেকে নিজে তৈরি করা (১): "আমি আমার জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে চাই, যারা হতাশ তাদের জন্য। তরুন/তরুনী, কিশোর/কিশোরী ভাই, বোনদের জন্য। এমন না যে আমি অনেক বড় একজন ব্..."
Zanika Mahmud: নিজেকে নিজে তৈরি করা (২)
Zanika Mahmud: নিজেকে নিজে তৈরি করা (২): "৪. কলেজ জীবনে চলতে গিয়ে অনেক কিছুই খুব স্পষ্টভাবে বুঝতে সক্ষম হলাম। এক. শুধু বাবার পরিচয় দিয়ে সবসময় পার পাওয়া যায়না। নিজের নাম, নিজের যোগ্..."
Zanika Mahmud: ব্র্যান্ডিং ইউরসেলফ.......
Zanika Mahmud: ব্র্যান্ডিং ইউরসেলফ.......: "জীবনের একটা পর্যায়ে এসে কখনোও না কখনো আমরা একবার হলেও পেছন ফিরে আমাদের অতীত নিয়ে ঘাটাঘাঁটি করি। আর তখন একটাই প্রশ্ন খুঁজে পাই যা জাগে সব..."
Zanika Mahmud: উত্তম পন্থা : তৈরি করুন নিজের ভবিষ্যত!
Zanika Mahmud: উত্তম পন্থা : তৈরি করুন নিজের ভবিষ্যত!: "যে কোন কাজই শুরু করবার আগে লক্ষ্য স্থির করে নেওয়াটা বোধহয় জরুরী অর্থাৎ কি করবেন, কি করতে চান ? ভবিষ্যত দেখবার ক্ষমতা আমাদের কারোরই নেই, জান..."
Zanika Mahmud: নিজেকে নিজে তৈরি করা (৩)
Zanika Mahmud: নিজেকে নিজে তৈরি করা (৩): "৬. কোচিং এর সময়গুলোকে প্রচন্ড প্রচন্ড মিস্ করি। কেননা সেই ২ বছরই হচ্ছে আমার শিক্ষার্থী জীবনের সবচাইতে মজার, আনন্দঘন মুহুর্তগুলি। কখনো কখনো..."
Zanika Mahmud: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষ...
Zanika Mahmud: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষ...: "মলয় কুমার ভৌমিক। একজন দায়িত্ববান, সৎ, প্রগতিশীল, নিষ্ঠাবান শিক্ষক হিসাবেই তাকে চিনি। খবরের কাগজে তার অনেক কলামও নজরে এসেছে। কিন্তু বর্তম..."
Zanika Mahmud: দশভূজা নারী... নারীর দশদিক...
Zanika Mahmud: দশভূজা নারী... নারীর দশদিক...: "'দশভূজা নারী' র এইবারকার পর্ব ননদদেরকে নিয়ে। আগেই কিন্তু বলেছি আমি কোন কনসালটেন্ট নই। জাষ্ট একটু আলোচনা...... ননদের ভূমিকায় যখন...."
Zanika Mahmud: হঠাৎ এই বৃষ্টি
Zanika Mahmud: হঠাৎ এই বৃষ্টি: "আজ দুপুরে হঠাৎই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল। মনে সকাল থেকেই 'কি যেন নেই নেই'...সুর। অথচ আমারতো সবই আছে। জুনিয়র রুমমেটের আবদার, বৃষ্টিতে খিচুড়ি..."
Zanika Mahmud: এলোমেলো ভাবনাগুলি......১
Zanika Mahmud: এলোমেলো ভাবনাগুলি......১: "অনেক সময় হঠাৎ করেই এলোমেলো কিছু ভাবনা চলে আসে, আর তারপর শুরু হয় দিনভর তাড়া করে বেড়ানো। কিছু ভাবনা থাকে, 'কাউকে ঘিরে', আবার কিছু ভাবনা থা..."
Zanika Mahmud: এলোমেলো ভাবনাগুলি......২
Zanika Mahmud: এলোমেলো ভাবনাগুলি......২: "বদ্ধ এ দুয়ারের ওপারেই মুক্তি আমার.... গতকালকের বিকেলবেলা। রুমের জানালার পাশে বসা, আমার এলোমেলো ভাবনাগুলি ক্ষণে ক্ষণেই চলে আসছে। সামনের..."
শনিবার, মার্চ ২৬, ২০১১
৭১ এর স্মরণীয় স্মৃতি
আজ আমি গর্বিত এক মহান বীর সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এর মেয়ে হিসাবে। স্বার্থক আমার জন্ম।
আর এই জন্মের স্বার্থকতা বজায় রাখার জন্য ইনশাল্লাহ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
আমার বাবার স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার কিছু স্মৃতি তুলে ধরতে চাই, তারই লেখনীর মাধ্যমে। আশা করি ব্লগারদের ভালো লাগবে।
লেখক : খ: জাহিদ মাহমুদ (মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার)
আজ বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় উজ্জ্বল বিজয়ের দিন৷ বহু রক্ত, ত্যাগ, তিতীক্ষা এবং সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত এই বিজয়কে কোটি কোটি বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে এর আনন্দ ও সুফল পেঁৗছে দেওয়াটাই আজ আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য৷ এ দিনটি প্রতিবছর আসে, আমাদের মাঝে জাতীয় স্মৃতি, ঐক্য, ঐতিহ্য ও দেশপ্রেমকে উদ্ভুদ্ধ করবার এক মহান অঙ্গীকার নিয়ে৷
মনে পড়ে আমার ৭১ এর সেই রক্তক্ষয়ী বিভিষিকাময় দিনগুলির কথা৷ আমি ছিলাম তখন “এডওয়ার্ড সরকারি মহাবিদ্যালয়” এর বাণিজ্যিক বিভাগের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্র৷ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ডাকে সারা জাতি যখন দেশকে মুক্ত করবার বজ্র কঠিন শপথ নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরল, তখন আমিও পাবনায় ৩১৩ জন শত্রু সেনা নিমূলের সাথে জড়িত থাকার গৌরব অর্জন করি৷ পরবর্তীতে পাবনা দখল হাত ছাড়া হবার পর বড় ভাইয়ের পরিবারসহ টাংগাইলের নাগরপুর থানার সারাংপুর গ্রামে পিতা ও পিতামহের সুনামধন্য “সাহেব বাড়ি” নামে খ্যাত বসত বাড়িতে আশ্রয় নেই৷ গ্রামে এসেই আমার বড় ভাইদের দেখাদেখি, আমিও আমার সহপাঠি বন্ধুদের নিয়ে দেশ মাতৃকার চরম মুহুর্তে সংগঠিত হবার কাজে যুক্ত হলাম৷ ঠিক সেই মুহুর্তে হিন্দুদের দোকান লুটের বিরুদ্ধে পারিবারিকভাবে রুখে দাঁড়ানো ও স্বাধীনতার স্বপক্ষে এই তত্পরতার সংবাদ, নাগরপুর থানায় পেঁৗছে দিল স্থানীয় চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধীরা৷ আর এই সংবাদ পেয়ে ছুটে এলো আমাদের বাড়িতে বর্বর পাকবাহিনী৷ অগি্নসংযোগ, লুটতরাজ এবং গুলি করে শহীদ করল আমার চার জন চাচা ও একজন চাচাতো ভাইকে৷ বড়ভাই লুত্ফর রহমান মিন্টুকে ধরে নিয়ে গেল নাগরপুর থানায় এবং থানার উত্তর পাশ্বর্ের ব্রীজে দাঁড় করিয়ে গুলি করল৷ কিন্তু, ভাগ্য ভাল, পানিতে লাফিয়ে পরে বেঁচে যান আমার ভাইটি৷ যিনি পরবর্তীতে বাতেন বাহিনীর কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন৷
বন্দী হয়েছিলেন বড় ভাই লুত্ফর করিম, খ: ফজলুর রহমান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক লাইব্রেরীর প্রধান), আহাম্মাদুল হক, দুলাল, চাচা আবুল ফতে গোলাম সোবহান, আসাদুজ্জামান ও আমি নিজেও৷ মা ছিলেন উদর্ু ভাষায় পারদর্শী এবং বাড়িতে মসজিদ থাকায় কোরআন শরীফের দোহাই দিয়ে পরম করুনাময়ের অপার মহিমায় কোন রুপে প্রাণে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন আমাদেরকে বর্বরদের হাত থেকে৷ গভীর রাতেই আমাদেরকে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে হত্যাযজ্ঞ, অগি্নসংযোগ, তান্ডব ও লুটতরাজ করে বর্বর ক্যাপ্টেন তার দল নিয়ে ফিরে গেল৷ সেই রাতেই চাচাদের ও চাচাতো ভাইয়ের শহীদী রক্ত বুকে লাগিয়ে রক্ত শপথ করে গ্রাম ছাড়লাম৷ বহু কষ্ট ও প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যুক্ত হলাম বহেরাতৈলে কমান্ডার খ: মোছা চৌধুরীর কাদেরিয়া বাহিনীতে৷ তার পর চললো কঠিন প্রশিক্ষণ এবং পরবর্তীতে উচ্চতর ট্রেনিং ও উন্নত হাতিয়ারের উদ্দেশ্যে ভারতে পেঁৗছালাম৷ সেখানে তুড়া ক্যাম্পে ২৮ দিন ট্রেনিং শেষে দেশ মাতৃকার সেবায় জেনারেল ওসমানীর নেতৃত্বে শপথ নিয়ে দেশে ফিরলাম, বীর বিক্রম কমান্ডার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে৷ তারপর বিভিন্ন খন্ড যুদ্ধে অংশ গ্রহণের পর এলো আমার জীবনের সেই স্মরণীয় মুহুর্ত৷ ঠিক রোজার ঈদের আগের দিন, সকাল থেকেই একত্র হলেন নিকটবর্তী সকল কোম্পানীর মুক্তিযোদ্ধারা, ফতেপুর ক্যাম্পে৷
তারপর কালিয়াকৈর হতে করটিয়া পর্যন্ত সকল ব্রীজে একত্রে একই সময়ে বীর প্রতিক হুমায়ুন বাঙ্গাল, আনোয়ার পাহাড়ী, হাসিবুল ও তানসের কে বলা হলো সোহাগপাড়া ব্রীজের পূর্ব পাশ্বর্ে জঙ্গলে অবস্থান নেয়ার জন্য৷ ভাতিজা কমান্ডার ফেরদৌসকে বলা হলো, তার লোক নিয়ে ব্রীজ থেকে পূর্ব পাশ্বর্ে ৪টি ডিনামাইট দিয়ে রাস্তা ফেলে দিতে, যাতে বর্বররা সহজে ব্রীজে আসতে না পারে৷
যুদ্ধ শুরু হলো৷ সময় যায়৷ আমি ও হুমায়ুন জঙ্গলে শুয়ে আছি৷ হঠাত্ দেখি একটি বাস ঢাকার দিক থেকে ব্রীজের দিকে যাচ্ছে৷ তা দেখেই হুমায়ুন উঠে পরে বাসে গুলি করলো, (শত্রুসেনাদের ব্রীজের অবস্থানের সাহায্যের জন্য যাচ্ছে ভেবে)৷ সময় যায়, ব্রীজ দখল হচ্ছে না দেখে হুমায়ুন অধৈর্য্য হয়ে বললো, “আমরা হেরে যাচ্ছি, আমাদের বেঁচে থেকে কি লাভ? চলো, আমরা এদিক থেকে আক্রমন করি৷” সত্যিই হুমায়ুন একজন দুঃসাহসিক যোদ্ধা ছিল৷ বলেই সে রাস্তার উত্তর পাশ্বর্ে চলে গেল, আমাকে বললো, দক্ষিণ পাশর্্ব দিয়ে ব্রীজের দিকে এগিয়ে যেতে৷ যথারীতি আমরা কালো অন্ধকারে রাস্তার দুই পাশ দিয়ে ব্রীজের ঠিক ৭০’-৮০’ ফুট দূরে উঁচু জায়গা দেখে পজিশন নিলাম৷ নিয়েই দুজন দুটি করে, চারটি গ্রেনেট ছুড়লাম, ঠিক ব্যাংকার লক্ষ্য করে এবং দুজনই একসাথে এস.এম.জি এর চারটি করে ম্যাগজিন শেষ করে ফেললাম৷ এই অপ্রত্যাশিত দুর্ধর্ষ আক্রমনে ব্রীজ ছেড়ে পালালো বর্বর বাহিনী৷ ব্রীজে উঠে চিত্কার দিয়ে দুজন একসাথে “জয় বাংলা” বলে চললাম৷ হঠাত্ মনে হলো, আমার এস.এম.জি খালি, গ্রেনেডও নেই৷ হুমায়ুনের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, গুলি আছে নাকি৷ জানালো, একটাও নেই! আতংকিত হয়ে, আরো জোরে “জয় বাংলা” বলতে লাগলাম৷ ব্রীজ দখল হয়ে গিয়েছে দেখে, আমাদের ব্রীজে পশ্চিম পাশ্বর্ে যুদ্ধরত কমান্ডার সবুর খান ও অন্যান্যরা এসে তাড়াতাড়ি ব্রীজে ডিনামাইট সেট করে ব্রীজ উড়িয়ে দিল৷ রাত তখন প্রায় ১২ টার কাছে৷ আমরা মির্জাপুরের দিকে এগিয়ে চললাম৷ সবুর ভাই হলেন আমাদের সাথী৷ আজও মনে সেই গুলি ও গ্রেনেডবিহীন অবস্থায় শুধু মনের জোরের উপর ব্রীজ বিজয়কে “জয় বাংলা” বলে নিশ্চিত করেছিলাম৷ সেই উচ্চারিত “জয় বাংলা” ধ্বনি আজ কেউ কি দিতে পারবে? মনে পড়ে বাঙ্গালী জাতির গৌরব, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরলেন, আমরা কাদেরিয়া বাহিনী ধানমন্ডির ৩২নং এ গিয়ে সেই পবিত্র মুখের সাক্ষাত করলাম৷ ঠিক তখন নেতাকে গার্ড অফ অনার দেওয়াতে আমার বুকে নেতা তাঁর পবিত্র হাতে স্পর্শ করে মিষ্টি হাসি হেসে বলেছিলেন, “জয় বাংলা”৷ সেই বিজয়ের ও আনন্দের ঐতিহাসিক “জয় বাংলা” ধ্বনি আর কি কারও কোন দিন বঙ্গবন্ধুর কন্ঠে শোনার ভাগ্য হবে?
আজ ৭১ এর সেই বিজয়ের দিনে মনে পড়ে, ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর, কান্না করে বলেছিলাম “হায়, দেশ ও জাতির জন্য কিছুই করতে পারলামনা”৷ যদিও বালিয়াতে সম্মুখ যুদ্ধে বর্বর পাকসেনা ৬জনকে নিমূল করে এবং ৪জনকে জীবিত আটক করি৷ এবং আটককৃতদের থেকে কমান্ডার বেনজীর (ক্যাপ্টেন হালিম গ্রুপের) ২ জনকে চেয়ে নেয়৷ মির্জাপুরে সম্মুখ যুদ্ধে ৩ জন পাকসেনাসহ, শতাধিক রাজাকার আটক করি৷ যুদ্ধ শেষে দখল করা ৩ ট্রাক অস্ত্র ও ৫ জন জীবিত বর্বর পাকসেনাকে টাংগাইল থানায় সোর্পদ করি৷ আমার ভাই, চাচা, পরম আত্মীয়, লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তে মা বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম এই দেশকে গড়ে তুলতে হবে৷ এক অনাবিল সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধির দেশ হিসাবে৷ সোনার বাংলায়, সোনার ছেলে ও মানুষ হওয়ার আহবান জানাই আজ এই বিজয়ের দিনে৷
স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির ঐক্য আজ বড়ই প্রয়োজন৷ কেননা, বর্বরদের দোসররা বড়ই তত্পর ও সংগঠিত৷ তাই এই বিজয়কে, স্বাধীনতাকে, সার্বিকভাবে স্বার্থক করতে, দেশ ও জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তিপ্রদান ও মর্যাদাশীল জাতি হিসাবে বিশ্বদরবারে পরিচিত করবার জন্য চাই সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও তার সঠিক বাস্তবায়ন৷ তাই জাতীয় ঐক্য খুবই প্রয়োজন হয়ে পরেছে৷
দেশে প্রকৃত স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পেঁৗছে দেয়াটাই হোক্ আজ সবার অঙ্গীকার৷
আর এই জন্মের স্বার্থকতা বজায় রাখার জন্য ইনশাল্লাহ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
আমার বাবার স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার কিছু স্মৃতি তুলে ধরতে চাই, তারই লেখনীর মাধ্যমে। আশা করি ব্লগারদের ভালো লাগবে।
লেখক : খ: জাহিদ মাহমুদ (মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার)
আজ বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় উজ্জ্বল বিজয়ের দিন৷ বহু রক্ত, ত্যাগ, তিতীক্ষা এবং সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত এই বিজয়কে কোটি কোটি বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে এর আনন্দ ও সুফল পেঁৗছে দেওয়াটাই আজ আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য৷ এ দিনটি প্রতিবছর আসে, আমাদের মাঝে জাতীয় স্মৃতি, ঐক্য, ঐতিহ্য ও দেশপ্রেমকে উদ্ভুদ্ধ করবার এক মহান অঙ্গীকার নিয়ে৷
মনে পড়ে আমার ৭১ এর সেই রক্তক্ষয়ী বিভিষিকাময় দিনগুলির কথা৷ আমি ছিলাম তখন “এডওয়ার্ড সরকারি মহাবিদ্যালয়” এর বাণিজ্যিক বিভাগের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্র৷ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ডাকে সারা জাতি যখন দেশকে মুক্ত করবার বজ্র কঠিন শপথ নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরল, তখন আমিও পাবনায় ৩১৩ জন শত্রু সেনা নিমূলের সাথে জড়িত থাকার গৌরব অর্জন করি৷ পরবর্তীতে পাবনা দখল হাত ছাড়া হবার পর বড় ভাইয়ের পরিবারসহ টাংগাইলের নাগরপুর থানার সারাংপুর গ্রামে পিতা ও পিতামহের সুনামধন্য “সাহেব বাড়ি” নামে খ্যাত বসত বাড়িতে আশ্রয় নেই৷ গ্রামে এসেই আমার বড় ভাইদের দেখাদেখি, আমিও আমার সহপাঠি বন্ধুদের নিয়ে দেশ মাতৃকার চরম মুহুর্তে সংগঠিত হবার কাজে যুক্ত হলাম৷ ঠিক সেই মুহুর্তে হিন্দুদের দোকান লুটের বিরুদ্ধে পারিবারিকভাবে রুখে দাঁড়ানো ও স্বাধীনতার স্বপক্ষে এই তত্পরতার সংবাদ, নাগরপুর থানায় পেঁৗছে দিল স্থানীয় চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধীরা৷ আর এই সংবাদ পেয়ে ছুটে এলো আমাদের বাড়িতে বর্বর পাকবাহিনী৷ অগি্নসংযোগ, লুটতরাজ এবং গুলি করে শহীদ করল আমার চার জন চাচা ও একজন চাচাতো ভাইকে৷ বড়ভাই লুত্ফর রহমান মিন্টুকে ধরে নিয়ে গেল নাগরপুর থানায় এবং থানার উত্তর পাশ্বর্ের ব্রীজে দাঁড় করিয়ে গুলি করল৷ কিন্তু, ভাগ্য ভাল, পানিতে লাফিয়ে পরে বেঁচে যান আমার ভাইটি৷ যিনি পরবর্তীতে বাতেন বাহিনীর কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন৷
বন্দী হয়েছিলেন বড় ভাই লুত্ফর করিম, খ: ফজলুর রহমান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক লাইব্রেরীর প্রধান), আহাম্মাদুল হক, দুলাল, চাচা আবুল ফতে গোলাম সোবহান, আসাদুজ্জামান ও আমি নিজেও৷ মা ছিলেন উদর্ু ভাষায় পারদর্শী এবং বাড়িতে মসজিদ থাকায় কোরআন শরীফের দোহাই দিয়ে পরম করুনাময়ের অপার মহিমায় কোন রুপে প্রাণে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন আমাদেরকে বর্বরদের হাত থেকে৷ গভীর রাতেই আমাদেরকে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে হত্যাযজ্ঞ, অগি্নসংযোগ, তান্ডব ও লুটতরাজ করে বর্বর ক্যাপ্টেন তার দল নিয়ে ফিরে গেল৷ সেই রাতেই চাচাদের ও চাচাতো ভাইয়ের শহীদী রক্ত বুকে লাগিয়ে রক্ত শপথ করে গ্রাম ছাড়লাম৷ বহু কষ্ট ও প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যুক্ত হলাম বহেরাতৈলে কমান্ডার খ: মোছা চৌধুরীর কাদেরিয়া বাহিনীতে৷ তার পর চললো কঠিন প্রশিক্ষণ এবং পরবর্তীতে উচ্চতর ট্রেনিং ও উন্নত হাতিয়ারের উদ্দেশ্যে ভারতে পেঁৗছালাম৷ সেখানে তুড়া ক্যাম্পে ২৮ দিন ট্রেনিং শেষে দেশ মাতৃকার সেবায় জেনারেল ওসমানীর নেতৃত্বে শপথ নিয়ে দেশে ফিরলাম, বীর বিক্রম কমান্ডার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে৷ তারপর বিভিন্ন খন্ড যুদ্ধে অংশ গ্রহণের পর এলো আমার জীবনের সেই স্মরণীয় মুহুর্ত৷ ঠিক রোজার ঈদের আগের দিন, সকাল থেকেই একত্র হলেন নিকটবর্তী সকল কোম্পানীর মুক্তিযোদ্ধারা, ফতেপুর ক্যাম্পে৷
তারপর কালিয়াকৈর হতে করটিয়া পর্যন্ত সকল ব্রীজে একত্রে একই সময়ে বীর প্রতিক হুমায়ুন বাঙ্গাল, আনোয়ার পাহাড়ী, হাসিবুল ও তানসের কে বলা হলো সোহাগপাড়া ব্রীজের পূর্ব পাশ্বর্ে জঙ্গলে অবস্থান নেয়ার জন্য৷ ভাতিজা কমান্ডার ফেরদৌসকে বলা হলো, তার লোক নিয়ে ব্রীজ থেকে পূর্ব পাশ্বর্ে ৪টি ডিনামাইট দিয়ে রাস্তা ফেলে দিতে, যাতে বর্বররা সহজে ব্রীজে আসতে না পারে৷
যুদ্ধ শুরু হলো৷ সময় যায়৷ আমি ও হুমায়ুন জঙ্গলে শুয়ে আছি৷ হঠাত্ দেখি একটি বাস ঢাকার দিক থেকে ব্রীজের দিকে যাচ্ছে৷ তা দেখেই হুমায়ুন উঠে পরে বাসে গুলি করলো, (শত্রুসেনাদের ব্রীজের অবস্থানের সাহায্যের জন্য যাচ্ছে ভেবে)৷ সময় যায়, ব্রীজ দখল হচ্ছে না দেখে হুমায়ুন অধৈর্য্য হয়ে বললো, “আমরা হেরে যাচ্ছি, আমাদের বেঁচে থেকে কি লাভ? চলো, আমরা এদিক থেকে আক্রমন করি৷” সত্যিই হুমায়ুন একজন দুঃসাহসিক যোদ্ধা ছিল৷ বলেই সে রাস্তার উত্তর পাশ্বর্ে চলে গেল, আমাকে বললো, দক্ষিণ পাশর্্ব দিয়ে ব্রীজের দিকে এগিয়ে যেতে৷ যথারীতি আমরা কালো অন্ধকারে রাস্তার দুই পাশ দিয়ে ব্রীজের ঠিক ৭০’-৮০’ ফুট দূরে উঁচু জায়গা দেখে পজিশন নিলাম৷ নিয়েই দুজন দুটি করে, চারটি গ্রেনেট ছুড়লাম, ঠিক ব্যাংকার লক্ষ্য করে এবং দুজনই একসাথে এস.এম.জি এর চারটি করে ম্যাগজিন শেষ করে ফেললাম৷ এই অপ্রত্যাশিত দুর্ধর্ষ আক্রমনে ব্রীজ ছেড়ে পালালো বর্বর বাহিনী৷ ব্রীজে উঠে চিত্কার দিয়ে দুজন একসাথে “জয় বাংলা” বলে চললাম৷ হঠাত্ মনে হলো, আমার এস.এম.জি খালি, গ্রেনেডও নেই৷ হুমায়ুনের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, গুলি আছে নাকি৷ জানালো, একটাও নেই! আতংকিত হয়ে, আরো জোরে “জয় বাংলা” বলতে লাগলাম৷ ব্রীজ দখল হয়ে গিয়েছে দেখে, আমাদের ব্রীজে পশ্চিম পাশ্বর্ে যুদ্ধরত কমান্ডার সবুর খান ও অন্যান্যরা এসে তাড়াতাড়ি ব্রীজে ডিনামাইট সেট করে ব্রীজ উড়িয়ে দিল৷ রাত তখন প্রায় ১২ টার কাছে৷ আমরা মির্জাপুরের দিকে এগিয়ে চললাম৷ সবুর ভাই হলেন আমাদের সাথী৷ আজও মনে সেই গুলি ও গ্রেনেডবিহীন অবস্থায় শুধু মনের জোরের উপর ব্রীজ বিজয়কে “জয় বাংলা” বলে নিশ্চিত করেছিলাম৷ সেই উচ্চারিত “জয় বাংলা” ধ্বনি আজ কেউ কি দিতে পারবে? মনে পড়ে বাঙ্গালী জাতির গৌরব, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরলেন, আমরা কাদেরিয়া বাহিনী ধানমন্ডির ৩২নং এ গিয়ে সেই পবিত্র মুখের সাক্ষাত করলাম৷ ঠিক তখন নেতাকে গার্ড অফ অনার দেওয়াতে আমার বুকে নেতা তাঁর পবিত্র হাতে স্পর্শ করে মিষ্টি হাসি হেসে বলেছিলেন, “জয় বাংলা”৷ সেই বিজয়ের ও আনন্দের ঐতিহাসিক “জয় বাংলা” ধ্বনি আর কি কারও কোন দিন বঙ্গবন্ধুর কন্ঠে শোনার ভাগ্য হবে?
আজ ৭১ এর সেই বিজয়ের দিনে মনে পড়ে, ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর, কান্না করে বলেছিলাম “হায়, দেশ ও জাতির জন্য কিছুই করতে পারলামনা”৷ যদিও বালিয়াতে সম্মুখ যুদ্ধে বর্বর পাকসেনা ৬জনকে নিমূল করে এবং ৪জনকে জীবিত আটক করি৷ এবং আটককৃতদের থেকে কমান্ডার বেনজীর (ক্যাপ্টেন হালিম গ্রুপের) ২ জনকে চেয়ে নেয়৷ মির্জাপুরে সম্মুখ যুদ্ধে ৩ জন পাকসেনাসহ, শতাধিক রাজাকার আটক করি৷ যুদ্ধ শেষে দখল করা ৩ ট্রাক অস্ত্র ও ৫ জন জীবিত বর্বর পাকসেনাকে টাংগাইল থানায় সোর্পদ করি৷ আমার ভাই, চাচা, পরম আত্মীয়, লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তে মা বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম এই দেশকে গড়ে তুলতে হবে৷ এক অনাবিল সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধির দেশ হিসাবে৷ সোনার বাংলায়, সোনার ছেলে ও মানুষ হওয়ার আহবান জানাই আজ এই বিজয়ের দিনে৷
স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির ঐক্য আজ বড়ই প্রয়োজন৷ কেননা, বর্বরদের দোসররা বড়ই তত্পর ও সংগঠিত৷ তাই এই বিজয়কে, স্বাধীনতাকে, সার্বিকভাবে স্বার্থক করতে, দেশ ও জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তিপ্রদান ও মর্যাদাশীল জাতি হিসাবে বিশ্বদরবারে পরিচিত করবার জন্য চাই সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও তার সঠিক বাস্তবায়ন৷ তাই জাতীয় ঐক্য খুবই প্রয়োজন হয়ে পরেছে৷
দেশে প্রকৃত স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পেঁৗছে দেয়াটাই হোক্ আজ সবার অঙ্গীকার৷
শনিবার, মার্চ ০৫, ২০১১
স্বপ্ন হচ্ছে পূরন......
হটাৎ করেই আজ বড় খুশি লাগছে,,, অবশ্য তার কারনও আছে।
কয়েক মাস আগে একটা ম্যাগাজিনে পার্টটাইমার হিসাবে কাজ শুরু করি। পড়ালেখার পাশাপাশি জাষ্ট কিছু কাজে ব্যস্ত থাকা। তারপর দেখতে দেখতে কখন যেন এতটা অ্যাটাচড্ হয়ে গেলাম বুঝতে পারিনি। কথা ছিল তো চার ঘন্টা কাজ করার। কিন্তু দেখা গেল, প্রায় সারাটি দিনই মাথায় ঘুরতে থাকতো কি নতুন আনা যায় এতে!!
আমাদের এই ম্যাগাজিনটা স্পেশালি জাপান আর মালয়েশিয়ার জন্য ছিল। অর্থাৎ সেদেশে এর সার্কুলেশন ছিল, কিন্তু কাজ এদেশ থেকে হতো। বাংলাদেশে লাইসেন্স পেতে খুব সমস্যাও হচ্ছিল। কাজেই বাংলাদেশের পাঠক/পাঠিকারা তেমন একটা পরিচিত ছিলেন না।
আমার স্বপ্ন ছিল কখন এদেশেইও পাঠক/পাঠিকারা পরিচিত হবেন এর সাথে।
তারপর একসময় বহু আকাংখিত প্রত্যাশা, আশা, আকাংখার পর, আমাদের মাসিক ম্যাগাজিনটা প্রকাশিত হতে যাচ্ছে মার্চ থেকেই । পূরণ হতে যাচ্ছে আমাদের স্বপ্ন।
আমার ৩জন সিনিয়র কলিগ, আমারও বহু আগের থেকে এর সাথে সংযুক্ত। আমার চেয়ে অবশ্যই তারা অনেক অনেক বেশি আনন্দিত।
কিন্তু আমার মনে হচ্ছে যেন, খুব নিজস্ব...একান্ত আপন...আমাদের এই পত্রিকাটি..আমার এই পত্রিকাটি। একে সাজাবার, গড়বার ইচ্ছাটাকে যেন বাস্তবে রুপ দিতে পারি এর জন্য দোয়া করবেন।
আপনাদের সবার দোয়া একান্ত কাম্য।
আমাদের ম্যাগাজিনটির নাম....
[b]"দশদিক"[/b]
শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০১১
ki likhbo
wK wjLe??
‡jLv †jwLUv eÇ RwUj|
wKš‘ wbR©bZvi gv‡S, wbtm½ Ae¯’vq hLb _vK‡eb, ZLb GKgvÎ eÜzwU n‡Z cv‡i, KvMR Kjg A_ev eB|
cÖ_g Blog G m`m¨ njvg|
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)