যেন হারিয়ে না যায়
কিছুটা আতংকিত একটি ব্যাপারে!!
প্রচন্ড বিষন্নতা কিংবা প্রচন্ড রাগের মাথাতেই থাকিনা কেন, ভালোবাসার পাত্রটির কাছে গিয়ে, তাকে জড়িয়ে ধরতেই এত প্রশান্তি!! আহা!! এ আমার সার্থক প্রেম নাকি আমার প্রেমিকের সার্থকতা!! আমার শৈশব, কৈশোর আর আমার যৌবনের প্রথম প্রেম, আমার প্রেমিক......বই।
যান্ত্রিকতার সাথে সখ্যতা সম্পর্ককে আরো শক্ত, সহজ করছে কিনা জানি না, তবে হ্যাঁ, বহু পুরোনো সম্পর্কগুলো যে ভেঙ্গে যেতে পারে সেই আঁচ করতে পারি। দিন দিন যেন আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি এই যান্ত্রিকতা নামক সম্পূর্ণ নতুন এক সমাজব্যবস্থার কাছে। এতে সম্পর্কগুলোতে ট্রান্সপারেন্সি বাড়তে পারে কিন্তু জানিনা কেন.... আগের সেই মাধুর্যতটা যেন আর নেই। সত্য নাও বা হতে পারে, এ আমার নিতান্তই একান্ত ভাবনা।
যান্ত্রিকতার সার্থকতাকে উপভোগ করতে যে, তারই পরশ লাগে সে আর বলতে!(আরে বাবা, চার্জ দিয়ে যে চালাতে হয়), আসলে বলতে চাইছি, "ই-বুক রিডার" এর কথা। হাসবেন না। আমার সামনে একটি ই-বুক রিডার রাখা, আমারই। উপহার। এতে অনেক বই ডাউনলোড করছি এবং খুব ভালোও লাগছে কিন্তু হঠাৎ চোখ চলে গেল আমার বুকশেলফে। মনে হলো ওরা যেন হাসল, বলছে ১০/২০ টার ভার একত্রে নিতে কি কষ্ট হয় বলে!!!
একা একাই ভাবলাম, এটা কি কথা!! হ্যাঁ, ভালো লাগে ব্যাগের ভেতর ছোট্ট একটা যন্ত্রে অনেকগুলো বই সাথে নিয়ে ঘুরতে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি ভালো লাগে.....বইয়ের পাতার গন্ধ নিতে, পাতার পর পাতা উল্টাতে, হারিয়ে যেতে, হাজারো বইয়ে ভর্তি নিজের ঘর দেখতে। মনে হয় যেন, হ্যাঁ, এটা একটি বাসযোগ্য ঘরই বটে।
বর্তমানে এমনিতেই যে হাল, এই যে লিখছি, যন্ত্রের মাধ্যমে আবার যারা পড়ছেন তাও কিন্তু সেই যন্ত্রই। ভাবছি, নতুন যারা তারা যেন যন্ত্রকে আঁকড়াতে গিয়ে, বইয়ের প্রতিটি পাতার গন্ধ, অপার্থিব সেই ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত না হয়। ম্যাটেরিয়ালিস্টিক হতে গেলে "অনুভব" হারিয়ে ফেলব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন