মানুষ যখনই কোন কারণে তার কাজে বাধাগ্রস্থ হয় বা কোন সমস্যায় পরে, ঠিক তখনই প্রথম তার চিন্তায় কি আসতে পারে?
১. এই মুহুর্তে আমি অনেক সমস্যার মাঝে আছি, এমন কেউ কি আছে যে আমাকে এই সমস্যা থেকে উদ্ধার করবে !
২. আর এই সমস্যা না...., এই দিয়ে চতুর্থবার হবে যে আমি একই সমস্যাতে পরলাম !!
৩. আমি এই কাজটি একদমই পছন্দ করিনা, কি এমন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো !!!
স্বাভাবিকভাবেই যেকোন কাজ করতে গেলে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হই৷ কাজগুলো কর্মক্ষেত্র বা পারিবারিক যেকোন প্রকার হতে পারে৷ এমন আমরা অনেকেই আছি যারা সমস্যার সমাধান খোঁজা বাদ দিয়ে বলি- "গিভ আপ", "আর পারছিনা"৷ অফিসের পরিবেশে আমাদের সহকর্মীদের মাঝেই এমন ক'জন মেলে যারা সমস্যার কথা চিন্তা না করে আগে সমাধানের কথা চিন্তা করে ! অবশ্য অনেকেই আমরা সমস্যাজড়িত সহকর্মীদের তাদের কাজে সাহায্য করি, কিন্তু পরবর্তীতে তারা যেন স্বাধীনভাবে নিজেদের সমস্যার সমাধান নিজেরাই করতে পারে সেদিকটাতে কি সাহায্য করি !
প্রকৃতপক্ষে, যারা নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে পারে, তারা যেকোন জটিলতা দেখলেই সমাধান বের করতে উদ্ধুত হয় আগে৷ কাজেই কাউকে সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত না করে, আগে প্রভাবিত করতে হবে সমাধান নিয়ে৷ আর তা করতে হলে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যেতে পারে৷ যেমন:
১. নিজের দূর্বলতা নিয়ে না ভেবে, আগে শক্তিগুলো বের করুন৷
২. সমস্যা নিয়ে না ভেবে বরং সমাধান নিয়ে আগে ভাবুন৷
৩. দৃষ্টি দিন পর্যাপ্ততার প্রতি, অপর্যাপ্ততার উপর নয়৷
৪. ভাবুন "কি করা যেত", "কি করা সম্ভব নয়" সেটা না হয় পরেই ভাবুন৷
পুরো সমস্যাটির দিকে দৃষ্টি আগে দিতে হবে:
যদি আমরা কোন কাজের ক্ষেত্রে (অফিসিয়াল প্রজেক্ট) সমস্যার ধাপটিতে বেশি সময় নিয়ে নেই তখন আমাদের ক্লায়েন্ট প্রচন্ড হতাশা বোধ করেন৷ আর হতাশা দুদিকটাতেই প্রভাবিত করে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করে যা সমাধান বের করবার অনুকূলে হয়না৷ আমরা এমন অনেক মানুষ দেখেছি যারা তাদের সমস্যা-সংকট বা জটিলতাগুলো নিয়ে কথা বলে এবং তাদের সেই সমস্যাগুলো ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকে৷ এক পর্যায়ে দেখা যায় সমস্যাটি এতটাই জটিল আকৃতি নিয়ে নেয় যে তখন ভুক্তভোগীরা তা পুরোটাই নিজেদের ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয় এবং সেই জটিলতাটিকে নিজেদের জীবনের একটি অংশ হিসেবে মেনে নেয়৷ আবার কিছু কিছু মানুষ তাদের অন্য সমস্যাগুলোর কারণও প্রথম সমস্যাটির জন্য হয়েছে বলে অভিযোগ করে থাকেন৷ কাজেই সমাধান ছেড়ে সমস্যা নিয়েই বেশি মাতলে কিন্তু তা থেকে বের হওয়া যায়না বরং তা জালের মত আরোও আটকে যায়৷ আর এই বেশি ভাবাটা নিজের ভেতর একটা বোধ তৈরি করে যা হচ্ছে নিজেকে সমাজের একজন ভুক্তভোগী হিসাবে ভাবা৷
সবসময় "ভালো দিক" যাকে বলে "পজিটিভ চিন্তা", তাই করতে হবে৷ সমস্যা দেখে বিচলিত বা ভয় না পেয়ে যদি সমাধান খোঁজার ব্যপারে বেশি মনোনিবেশ করা হয় তবে দেখা যাবে যে, এক পর্যায়ে মানুষের মস্তিস্কে সবসময় যে কোন সমস্যায় পরলে সুস্থ, সাবলীল ও গঠনমূলক ভাবনা করবার একটা প্রচেষ্টা তৈরি হয়ে যাবে৷ সমাধান খোঁজতে গিয়ে তার বিভিন্ন পথ বা পন্থাও তাদের নজরে আসবে৷ দেখতে পাবে শুধু একটি পথই নয়, বরং দ্বার খোলা আরোও বিভিন্ন পথের৷ আর এতে করে একটি পর্যায়ে গিয়ে মানসিকভাবে তারা আরো সক্ষম হবে এবং আত্মতৃপ্তিবোধ করবে সমাধান বের করবার মধ্য দিয়ে৷ কাজেই একটি বিপর্যস্থ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে চর্চা করতে হবে"সমাধান আগে খোঁজার চেষ্টা"৷
কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে গেলে ব্যাপারটিকে সহজ করা যায়, যেমন:
১. যা তুমি করতে চাইছো, তাতে এমন কি খারাপ আছে ?
২. কী এটাকে কঠিন করে তুলছে ?
৩.কী জন্য তুমি কাজটিতে আরোও ভালো করতে পারছোনা ?
৪. তারা কে, যারা তোমার কাজের সাফল্য বা উন্নতির পক্ষে নয় ?
৫. কাজের ক্ষেত্রে তোমার মূল জটিলতার কারণ কি ?
৬. কী তোমাকে বাধাগ্রস্থ করে ?
সবসময় নিজেকে প্রকৃত বা যথার্থ প্রশ্ন করতে হবে৷ যা সমস্যা নিয়ে আলোচনার চেয়ে বেশি প্রভাবিত করবে সমাধান কি বের হতে পারে৷ কাজেই আবারো বলব, পজিটিভ চিন্তা করুন......পথ আপনাতেই বের হবে৷
১. এই মুহুর্তে আমি অনেক সমস্যার মাঝে আছি, এমন কেউ কি আছে যে আমাকে এই সমস্যা থেকে উদ্ধার করবে !
২. আর এই সমস্যা না...., এই দিয়ে চতুর্থবার হবে যে আমি একই সমস্যাতে পরলাম !!
৩. আমি এই কাজটি একদমই পছন্দ করিনা, কি এমন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো !!!
স্বাভাবিকভাবেই যেকোন কাজ করতে গেলে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হই৷ কাজগুলো কর্মক্ষেত্র বা পারিবারিক যেকোন প্রকার হতে পারে৷ এমন আমরা অনেকেই আছি যারা সমস্যার সমাধান খোঁজা বাদ দিয়ে বলি- "গিভ আপ", "আর পারছিনা"৷ অফিসের পরিবেশে আমাদের সহকর্মীদের মাঝেই এমন ক'জন মেলে যারা সমস্যার কথা চিন্তা না করে আগে সমাধানের কথা চিন্তা করে ! অবশ্য অনেকেই আমরা সমস্যাজড়িত সহকর্মীদের তাদের কাজে সাহায্য করি, কিন্তু পরবর্তীতে তারা যেন স্বাধীনভাবে নিজেদের সমস্যার সমাধান নিজেরাই করতে পারে সেদিকটাতে কি সাহায্য করি !
প্রকৃতপক্ষে, যারা নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে পারে, তারা যেকোন জটিলতা দেখলেই সমাধান বের করতে উদ্ধুত হয় আগে৷ কাজেই কাউকে সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত না করে, আগে প্রভাবিত করতে হবে সমাধান নিয়ে৷ আর তা করতে হলে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যেতে পারে৷ যেমন:
১. নিজের দূর্বলতা নিয়ে না ভেবে, আগে শক্তিগুলো বের করুন৷
২. সমস্যা নিয়ে না ভেবে বরং সমাধান নিয়ে আগে ভাবুন৷
৩. দৃষ্টি দিন পর্যাপ্ততার প্রতি, অপর্যাপ্ততার উপর নয়৷
৪. ভাবুন "কি করা যেত", "কি করা সম্ভব নয়" সেটা না হয় পরেই ভাবুন৷
পুরো সমস্যাটির দিকে দৃষ্টি আগে দিতে হবে:
যদি আমরা কোন কাজের ক্ষেত্রে (অফিসিয়াল প্রজেক্ট) সমস্যার ধাপটিতে বেশি সময় নিয়ে নেই তখন আমাদের ক্লায়েন্ট প্রচন্ড হতাশা বোধ করেন৷ আর হতাশা দুদিকটাতেই প্রভাবিত করে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করে যা সমাধান বের করবার অনুকূলে হয়না৷ আমরা এমন অনেক মানুষ দেখেছি যারা তাদের সমস্যা-সংকট বা জটিলতাগুলো নিয়ে কথা বলে এবং তাদের সেই সমস্যাগুলো ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকে৷ এক পর্যায়ে দেখা যায় সমস্যাটি এতটাই জটিল আকৃতি নিয়ে নেয় যে তখন ভুক্তভোগীরা তা পুরোটাই নিজেদের ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয় এবং সেই জটিলতাটিকে নিজেদের জীবনের একটি অংশ হিসেবে মেনে নেয়৷ আবার কিছু কিছু মানুষ তাদের অন্য সমস্যাগুলোর কারণও প্রথম সমস্যাটির জন্য হয়েছে বলে অভিযোগ করে থাকেন৷ কাজেই সমাধান ছেড়ে সমস্যা নিয়েই বেশি মাতলে কিন্তু তা থেকে বের হওয়া যায়না বরং তা জালের মত আরোও আটকে যায়৷ আর এই বেশি ভাবাটা নিজের ভেতর একটা বোধ তৈরি করে যা হচ্ছে নিজেকে সমাজের একজন ভুক্তভোগী হিসাবে ভাবা৷
সবসময় "ভালো দিক" যাকে বলে "পজিটিভ চিন্তা", তাই করতে হবে৷ সমস্যা দেখে বিচলিত বা ভয় না পেয়ে যদি সমাধান খোঁজার ব্যপারে বেশি মনোনিবেশ করা হয় তবে দেখা যাবে যে, এক পর্যায়ে মানুষের মস্তিস্কে সবসময় যে কোন সমস্যায় পরলে সুস্থ, সাবলীল ও গঠনমূলক ভাবনা করবার একটা প্রচেষ্টা তৈরি হয়ে যাবে৷ সমাধান খোঁজতে গিয়ে তার বিভিন্ন পথ বা পন্থাও তাদের নজরে আসবে৷ দেখতে পাবে শুধু একটি পথই নয়, বরং দ্বার খোলা আরোও বিভিন্ন পথের৷ আর এতে করে একটি পর্যায়ে গিয়ে মানসিকভাবে তারা আরো সক্ষম হবে এবং আত্মতৃপ্তিবোধ করবে সমাধান বের করবার মধ্য দিয়ে৷ কাজেই একটি বিপর্যস্থ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে চর্চা করতে হবে"সমাধান আগে খোঁজার চেষ্টা"৷
কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে গেলে ব্যাপারটিকে সহজ করা যায়, যেমন:
১. যা তুমি করতে চাইছো, তাতে এমন কি খারাপ আছে ?
২. কী এটাকে কঠিন করে তুলছে ?
৩.কী জন্য তুমি কাজটিতে আরোও ভালো করতে পারছোনা ?
৪. তারা কে, যারা তোমার কাজের সাফল্য বা উন্নতির পক্ষে নয় ?
৫. কাজের ক্ষেত্রে তোমার মূল জটিলতার কারণ কি ?
৬. কী তোমাকে বাধাগ্রস্থ করে ?
সবসময় নিজেকে প্রকৃত বা যথার্থ প্রশ্ন করতে হবে৷ যা সমস্যা নিয়ে আলোচনার চেয়ে বেশি প্রভাবিত করবে সমাধান কি বের হতে পারে৷ কাজেই আবারো বলব, পজিটিভ চিন্তা করুন......পথ আপনাতেই বের হবে৷